নাসিরনগরে আমনের বাম্পার ফলন

338

6000s-Pic-3
ব্রাহ্মণবাড়িয়া(নাসিরনগর): নতুন ধানের গন্ধে মৌ মৌ করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কৃষক-কৃষাণীদের বাড়িতে। আঙ্গিনায় চলছে বোনা ও রোপা আমন ধান কাটার মহা ধুম। ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে নবান্ন উৎসবের আমেজ। বাহারী রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে শীতের সকালে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উৎসেব মেতে উঠবে সবাই।

উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন বয়সীর কৃষক-কৃষাণীরা কাস্তে হাতে নিয়ে মাঠে ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছে। মাঠের পর মাঠ বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সবুজের মাঝে সোনালী ধানের ঝিলিক। ফলে প্রান্তিক কৃষকের মুখে দেখা দিয়েছে হাসি। অনুকূল আবহাওয়া, স্থানীয় কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শ ও সঠিক ভাবে সার ব্যবহারের ফলে নাসিরনগরে এ বছর বোনা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বিশাল এলাকা জুড়ে সবুজ সমারোহে ভরে ওঠেছে ধানের মাঠ। মাঠের মাঝে মাঝে কিছু ধান পাকতেও শুরু করেছে। কোনো কোনো মাঠে ধান কাটতে শুরু করেছেন কৃষকেরা। দাঁতমন্ডল গ্রামের কৃষক সোলেমান জানান, আল্লাহর রহমতে এ বছর ফলন ভাল হয়েছে।

বুড়িশ্বর ইউনিয়নের স্কুল শিক্ষক কানু দেব জানান, চলতি বছর ১২ বিঘা বোনা আমন চাষ করেছি। অনুকূল আবহাওয়া, স্থানীয় কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শ ও বর্ষার পানি বেশি হওয়ায় অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ফলন খুব ভাল হয়েছে। কিন্তু ধানের দামের তুলনায় উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় লোকসান গুনতে হবে। এক বিঘা জমি কেটে ঘরে তুলতে তাদের খরচ হচ্ছে প্রায় ছয় হাজার টাকা। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন, শ্রমিকের স্বল্পতার দরুন শ্রমিকের অতিরিক্ত মুজরি প্রদান।

নাসিরনগরের কুন্ডা ইউনিয়নের কৃষক হরিপদ জানান, অন্যন্য মৌসুমের ধান চাষের মত আমন ধান আবাদে পরিশ্রম কম হয়। মাঠে ধান ছিটানোর পর প্রয়োজনীয় সার দিলেই আবাদ করা যায়। তবে এ বছর ফলন ভাল হয়েছে। পর্যাপ্ত পানি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে।

উপজেলা সরকারি কৃষি অফিস সূত্রে বলা হয়, নাসিরনগর উপজেলায় বোনা আমন ধানের ৯৯২৮ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। রোপা আমন আবাদ হয়েছে ৩৩৩০ হাজার হেক্টর জমিতে। এ বছর তাদের লক্ষ্যমাত্র ছিল ১.৬ মেটিক টন। তবে অনুকূল আবহাওয়া, কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শ ও বর্ষার পানি পরিমান মত হওয়ায় অন্য বছরের তুলনায় এ বছর লক্ষ্যমাত্র অতিক্রম করবে। এবছর বোনা ও রোপা আমন আবাদে বিভিন্ন ধরণের ধান চাষ করা হয়।

গুডা, হিরুনী, আসমিতা, শিমুল, মাদোয়াইল, কাতিয়াইল, বিন্নী ও লাকী জাতের ধান চাষ করা হয় বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে বলা হয়।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন