মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বোরো ধান ব্রি ২৮ ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে নষ্ট হয়েছে শত শত কৃষকের বোরো ফসল। এতে সামনে নিজেদের খানি খোরাকি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে সরকারের সহায়তা চেয়ে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন শ্রীমঙ্গল নোয়াগাও, রাজাপুর, ইউছুপপুর, উত্তর ভাড়াউড়া, লামুয়াসহ কয়েক গ্রামের শতাধিক কৃষক।
শনিবার বিকেল ৩টায় শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কৃষকরা বলেন, ‘হাইল হাওরে বোরো ফসলই এই এলাকার অধিকাংশ মানুষের জীবিকা নির্বাহের প্রধান মাধ্যম। কেউ কেউ আউশ ও আমন করলেও তা পরিমানে খুবই কম। এই ধানই তাদের আগামী বছরের পরিবার পরিজন নিয়ে চলাচলের একমাত্র অবলম্বন। কিন্তু বিধিবাম ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে পুরো ক্ষেতের ধানই এখন ছিটা হয়ে গেছে। নষ্ট হওয়া ধান কেউ গরুর জন্য কেটে নিচ্ছেন, কেউ জমিতেই ফেলে রেখেছেন।’
কৃষকরা বলেন, ‘আগামী আউশ, আমন ও বোরো মৌসুমে বীজ, সার ও অনান্য ক্ষেত্রে সরকার সহায়তা না করলে তাদের পক্ষে আর চাষ করা সম্ভব হবে না। একই সাথে ক্ষুদ্র, প্রান্থিক ও বর্গা চাষিদের আর্থিক সহায়তা না করলে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। পরে তারা শ্রীমঙ্গল সাগর দিঘি সড়কে মানববন্ধন করে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।’
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন জানান, ‘ব্রি ২৮ রোপনে কৃষকদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছে এর পরও কৃষকরা শ্রীমঙ্গল উপজেলায় ২৬৫১ হেক্টর জমিতে ব্রি ২৮ ধান রোপন করেন। যার মধ্যে বেশ কিছু অংশ ব্লাস্ট রোগে আক্রন্ত হয়। যখন এটি প্রথম ধরা পড়ে তখন পাতা একটু একটু মরতে শুরু করে। তখনই কৃষকদের দুই রাউন্ড ছত্রাক নাশক স্প্রেসহ অনান্য পরামর্শ দেয়া হয়। যারা প্রপার নিয়ম পালন করেননি, তাই তাদের ফসল নষ্ট হয়েছে।’ তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরী করা হচ্ছে। যা উপরে পাঠানো হবে। সরকার থেকে কোন সীন্ধান্ত বা সহায়তা আসলে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক ইউছুপ মিয়া মো: তাজুল ইসলাম, মো: দুলাল মিয়া ও মো: আছাদ মিয়াসহ শতাধিক কৃষক।
