১ দিনের মুরগীর বাচ্চা ছেলে না মেয়ে চিনবেন যেভাবে

583

মুরগী ডিম থেকে যখন বাচ্চা ফুটে তখন শতকরা ৫০ ভাগ বাচ্চা ছেলে এবং ৫০ ভাগ মেয়ে বাচ্চা আসে, এটা মোটামুটি কমন। অনেকসময় দেখা যায়, একজন খামারী যতসংখ্যক বাচ্চা নিলেন তার বেশিরভাগই মেয়ে বাচ্চা, যারা ছেলে বা মেয়ে বাচ্চা সনাক্ত করতে পারেন তাদের মাঝে বেশি মেয়ে বাচ্চার জন্য হতাশা অনেকসময়ই দেখা যায়। এর কারণ হচ্ছে, পূর্নাঙ্গ বয়সে মেয়ে বাচ্চার চেয়ে পুরুষ বাচ্চার ওজন বেশি হয়, ৩০-৩২ দিন বয়সে জাত ভেদে এই পার্থক্য ১০০-২০০ গ্রাম পর্যন্ত হতে পারে। তবে বাচ্চা ছেলে না মেয়ে পাবেন এটা অনেকটাই ভাগ্যের উপর নির্ভর করে। আসুন জেনে নেই, ১ দিন বয়সের বাচ্চা দেখে কিভাবে বুঝবেন যে এটি ছেলে না মেয়ে।

মুরগীর বাচ্চার সেক্স চেনার একটি উপায় হচ্ছে পালক দেখে সেক্স নির্নয় করা। একে উইং বা ফেদার সেক্সিং বলা হয়। একদিন বয়সী বাচ্চার সেক্স এ পদ্ধতিতে খুব সহজেই নির্নয় করা যায়। বয়স বেশি হয়ে গেলে এ পদ্ধতিতে সেক্স নির্নয় করা যায় না, কেননা তখন ছেলে বা মেয়ে খুব একটা আলাদা করা যায় না।

মেয়ে মুরগীর বাচ্চার উইং ফেদার বাচ্চা ফুটে বের হওয়ার আগে থেকেই বাড়তে শুরু করে, অপরদিকে ছেলে মুরগীর বাচ্চার উইং ফেদার বাচ্চা ফুটে বের হওয়ার পর বাড়তে শুরু করে। যার ফলে একদিন বয়সী মেয়ে বাচ্চার উইং ফেদার তুলনামূলক বড় ও স্পষ্ট থাকে।

মেয়ে বাচ্চার ক্ষেত্রে একটা ছোট ফেদার থাকে, তারপর একটা বড় ফেদার থাকে। এভাবে পর্যায়ক্রমে পাখনার ফেদারগুলো ছোট-বড় আকারে থাকে। কিন্তু ছেলে বাচ্চার ক্ষেত্রে সবগুলো ফেদার মোটামুটি একই আকৃতির হয়ে থাকে। এভাবে ছোট-বড় ফেদার থাকলে বুঝা যায় বাচ্চাটি মেয়ে, আর সমান ফেদার থাকলে বুঝা যায় বাচ্চাটি ছেলে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২২মার্চ ২০২২