৪ বছরে সারের দাম এক টাকাও বাড়ানো হয়নি: কৃষিমন্ত্রী

83

কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, গত চার বছরে প্রধানমন্ত্রী সারের দাম এক টাকাও বাড়াননি। এ বছরও সারের দাম বাড়ানো হবে না।

সোমবার (৩ এপ্রিল) সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা শেষে এসব কথা জানান তিনি। এ সময় শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন ও কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কামরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে ৬৮ লাখ ৪২ হাজার ৫০০ টন রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় বারবার আমাদের ওপর চাপ দিচ্ছে যে, সারের দাম বাড়ান, আমরা অর্থ যোগাড় করতে পারছি না, আমরা অর্থ আপনাদের দিতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রী অনড়, কিছুতেই তিনি সারের দাম বাড়াবেন না।’

তিনি বলেন, ‘এ পরিপ্রেক্ষিতে আজকেও আমরা আলোচনা করেছি। আমি আপনাদের বলতে চাই, আশা করি আপনারা জাতির সামনে তুলে ধরবেন। এ বছরও আমাদের সারের দাম বৃদ্ধির কোন পরিকল্পনা নেই। সারের দাম বাড়ানো হবে না।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরে ২৭ লাখ টন ইউরিয়া, ১৬ লাখ টন ডিএপি, সাড়ে ৭ লাখ টন টিএসপি, ৯ লাখ টন এমওপি, ৩০ হাজার টন এমএপি, ৩০ হাজার টন এনপিকেএস, সাড়ে ৫ লাখ টন জিপসাম, এক লাখ ৪০ হাজার টন জিংক সালেফেট, ২ হাজার ৫০০ টন অ্যামোনিয়াম সালফেট, ৯০ হাজার টন ম্যাগনেশিয়াম সালফেট এবং ৫০ হাজার টন বোরন প্রয়োজন হবে।

তিনি বলেন, ‘সার উপকরণ হিসেবে আমাদের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। আমরা প্রতিবছরই আগামী অর্থবছরে কী পরিমাণ সার লাগবে সেটি নির্ধারণ করি। যে কোনো পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে আমরা সার নিয়ে কোন সংকট সৃষ্টি হতে দেব না। সার নিয়ে যাতে কোনো কৃষককে ভোগান্তিতে পড়তে না হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি গ্যাস সরবরাহ করা যায় তাহলে খুব কম পরিমাণে বিদেশ থেকে আমদানি করতে হবে। গত দু-তিন বছর ধরে ঠিক মতো গ্যাসের সরবরাহ হচ্ছে না। মাঝে মাঝেই সার কারখানাগুলো বন্ধ রাখতে হয়।তবে ইউরিয়া সার যতটা সম্ভব স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করতে আমরা উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা করবো। জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করবো, তারা যাতে সার কারখানাগুলো সচল রাখতে পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাস সরবরাহ রাখে।’