কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটে বান্দরবানে সেবা মিলছে না ভেটেরিনারি হাসপাতালে

86

বান্দরবানে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংকটে ভেটেরিনারি হাসপাতালে সেবা মিলছে না। দীর্ঘদিন ধরে জেলার সাতটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে ৩২ জনের পদেই শূন্য।

জানা গেছে, জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালে ছয়জনের স্থলে রয়েছে মাত্র দুজন। চারটি পদই শূন্য। জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রে নয়জনের স্থলে রয়েছেন চারজন। পাঁচটি পদই শূন্য। ভেটেরিনারি সার্জন ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার ১৪ জনের পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন শুধু তিনজন। এর মধ্যে রোয়াংছড়ি, রুমা ও নাইক্ষ্যংছড়িতে তিনজন সার্জন কর্মরত রয়েছেন। জেলার সাতটি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে ৭৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন মাত্র ৪৫ জন। ৩২ জনের পদই শূন্য। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে কর্মকর্তা-কর্মচারী না থাকায় কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে না খামারি ও শৌখিন পশুপাখি লালনকারীরা।

ভুক্তভোগী খামারি টিপু মজুমদার ও সোলায়মানসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, জেলায় ছোট-বড় মিলে সহস্রাধিক খামারি রয়েছি। এছাড়া অনুন্নত পাহাড়ি জনপদের ঘরে ঘরে রয়েছে গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি। শহরের উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শৌখিন পশুপাখি লালনপালনের সংখ্যাও বাড়ছে।

কিন্তু জনবলের সংকটে দীর্ঘদিন ধরেই অচলাবস্থা জেলা ও উপজেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের। কাক্সিক্ষত কোনো সেবাই পাচ্ছে না পোলট্রি ও গরুর খামারিরা। কর্মকর্তারা না থাকায় বিভিন্ন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা বঞ্চিত হচ্ছে সরকারি বিভিন্ন ধরনের প্রণোদনা ও সুযোগ-সুবিধা থেকেও। এ সমস্যা থেকে প্রতিকারের জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

বিষয়টি স্বীকার করে বান্দরবান জেলা ভেটেরিনারি হাসপাতালের অফিসার ডা. পলাশ কান্তি চাকমা বলেন, গতবছর থেকেই জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার পদটি শূন্য। ভেটেরিনারি সার্জন ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার ১৪টি পদের বিপরীতে শুধু রোয়াংছড়ি, রুমা ও নাইক্ষ্যংছড়িতে তিন সার্জন কর্মরত রয়েছেন। জনবল সংকটে ঠিকমতো সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না। বিনা মূল্যে বিভিন্ন রকমের ওষুধ, পরামর্শ, প্রতিষোধক ভ্যাকসিন ও কৃত্রিম প্রজনন সরকারি মূল্যে সরবরাহ হচ্ছে। খামারিদের প্রশিক্ষণও দেয়া হচ্ছে। তবে পর্যাপ্ত বরাদ্দের অভাবে সময়মতো খামারিদের অধিকৃত প্রশিক্ষণ দিতে পারছি না। দেশের সমতল ভূমির ৬১টি জেলার তুলনায় তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সুযোগ-সুবিধা কম।