সিরাজগঞ্জে এক সপ্তাহে ভাইরাসজনিত রোগে ২৫ ছাগলের মৃত্যু

89

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভাইরাসজনিত রোগে গত এক সপ্তাহে অন্তত ২৫টি ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ রোগ প্রতিরোধে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কোনো তৎপরতা নেই বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত সপ্তাহে তাড়াশ পৌরসভার খোলাবাড়িয়া মহল্লার লাভলি খাতুনের দুটি, কৃষক ছায়াত আলীর একটি, তালম ইউনিয়নের সিলট গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের দুটি, সদর ইউনিয়নের বৃ-পাঁচান গ্রামের কৃষক বাবুল হোসেনের দুটি, কৃষক নূরুল ইসলামের একটি, বুলবুল হোসেনের একটি, লিটন আলীর একটি, আব্দুস সালামের দুটিসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে প্রায় ২৫টি ছাগলের মৃত্যু হয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জনবল সংকট থাকলেও পিপিআর (ভাইরাসজনিত) রোগ নির্মূল ও খুরা রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের মাধ্যমে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর উপজেলার প্রায় ৬৫ হাজারের অধিক ছাগল ও ভেড়াকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জাগো নিউজকে জানান উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ওয়ালী-উল ইসলাম। এ প্রকল্পের অধীনে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে ভলান্টিয়ার নিয়োজিত রয়েছেন।

উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের বেত্রাশিন গ্রামের সাজেদা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমি কয়েক বছর ধরে ছাগল লালন পালন করি। তবে প্রাণিসম্পদ অফিসের কেউ এ রোগের কোনো টিকা দেয়নি। উল্টো হাসপাতালে গিয়ে ফিরে এসেছি।

উলিপুর গ্রামে পিপিআর রোগে আক্রান্ত ছাগলের মালিক আব্দুল খালেক ও মাঝিড়া গ্রামের রিনি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, এ রোগে আক্রান্ত তাদের পাঁচটি ছাগল উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভ্যাটনারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে টিকা নাই বলে জানিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় পশু চিকিৎসকদের কাছে গেলে ছাগল প্রতি প্রায় ৫০০ টাকা ওষুধ কিনতে হয়।

এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, পিপিআর গবাদিপশু ছাগল ও ভেড়ার একটি মারাত্মক ভাইরাসজনিত রোগ। এ রোগে আক্রান্ত ছাগল ও ভেড়ার নাক-মুখ থেকে তরল নির্গত হতে থাকে। সেই সঙ্গে আক্রান্ত মুখে ঘা দেখা দেয়। এ কারণে খাবার না খেয়ে মাথা নিচু করে থাকে।