কুমিল্লায় ফল ও সবজি উৎপাদনের আধুনিক কলাকৌশল শীর্ষক প্রশিক্ষণ

285

[metaslider id=”12837″]

উদ্যানতাত্ত্বিক ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ এবং চর এলাকায় উদ্যান ও মাঠ ফসলের প্রযুক্তি বিস্তার প্রকল্পের অর্থায়নে আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা’র বাস্তবায়নে কৃষক কৃষানীদের একদিনের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

রোববার (১৩ জানুয়ারি) আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের কনফারেন্স রুমে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে পুষ্টি বিজ্ঞানীরা বলেন, একজন মানুষ সুস্থ থাকার জন্য দৈনিক ২০০-২৫০ গ্রাম শাকসবজি আর ফল খেতে হবে ২০০ গ্রাম। কিন্তু আমাদের দেশে সীমিত ফল উৎপাদনের কারণে আমরা খেতে পারছি মাত্র গড়ে ৪০-৪৫ গ্রাম। কৃষক যেন ফল সবজি উৎপাদন করে আর্থিক সমৃদ্ধি অর্জন করে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে এবং পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে এ লক্ষ্যেই এগিয়ে যাওয়া এ প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য।

প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসেবে প্রযুক্তিগত আলোচনা করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, (বিএআরআই) আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ওবায়দুল্লাহ্ কায়সার।

তিনি ফল ও সবজি ফসলের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন, বিভিন্ন ফল ও সবজি ফসলের জিনতত্ব, অধিক পুষ্টি সমৃদ্ধ ফল সবজি এবং ক্যান্সার প্রতিরোধক ফল সবজি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি হাইব্রিড ফল সবজি উৎপাদনের চেয়ে দেশীয় উন্নত জাতের ফল সবজি উৎপাদনের উপর পরামর্শ দেন।

প্রশিক্ষক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন-ড. মো. হায়দার হোসেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, কুমিল্লা। তিনি কয়েকটি ফল ও সবজি ফসলের পরিচিতি, ভাইরাস জনিত রোগ, কৃমিজনিত রোগ, পোকামাকড়জনিত রোগ ও ক্ষতিকারক পোকা সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং প্রতিরোধ ব্যবস্থা সম্পর্কে পরামর্শ দেন।

তিনি আরো বলেন, ফল সবজির অসংখ্য উপকারী পোকামাকড় রয়েছে, এসব উপকারী পোকামাকড় সংরক্ষণের জন্য পরিবেশ বান্ধব কৃষি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে।

প্রশিক্ষক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন-কৃষিবিদ মো. মহিবুর রহমান, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা।

সংবাদ লেখক: মো. মহসিন মিজি, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি তথ্য সার্ভিস, কুমিল্লা।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন