গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে সফল চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকরা

56

ভারতীয় এন-৫৩ নতুন জাতের পেঁয়াজ চাষ করে সফল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫টি উপজেলার কৃষকরা। জেলাজুড়ে সাড়ে ৪ হাজার বিঘা জমিতে এই জাতের পেঁয়াজ চাষ হচ্ছে। কৃষকেরা জানিয়েছেন, এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় খুশি হয়েছেন সাধারণ মানুষও। প্রতিবেশী রাষ্ট্র থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষণা করলে অস্থিরতা সৃষ্টি হয় দেশের বাজারে। এই এন-৫৩ ভারতীয় পেঁয়াজ বাজারে নিয়ন্ত্রণ এসেছে বলে মনে করেন সাধারণ কৃষকরা।

জেলার সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর মাঠে ৭/৮ বিঘা জমিতে ছোট ছোট আম বাগানের মধ্যে প্রণোদনার গ্রীষ্মকালীন ভারতীয় এন-৫৩ নতুন জাতের পেঁয়াজ চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক সায়েম আলী। দুই বছর ধরে কম পরিসরে চাষ করে ভালো লাভ হওয়ায় এ বছর ৭/৮ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেন তিনি। তার আশা সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বিঘায় ২ লাখ টাকা থাকবে। এই চাষি বলেন, শুধু আমি নয়, আমার মতো অনেকেই এই পেঁয়াজ চাষ করে লাভবান হবেন।

শিবগঞ্জ উপজেলার পেঁয়াজ চাষি নজরুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের ভালো ফলন হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে সব পেঁয়াজ ঘরে তুলে বিক্রি করবো। কিছু পর্যায়ক্রমে উঠানো হচ্ছে। ১ বিঘায় ফলন হচ্ছে প্রায় ১০০ মণ। এগুলো বিক্রি করেছি ৩ হাজার টাকা মণ দরে।

সদর উপজেলার কৃষক তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি এবার প্রথম এই জাতের পেঁয়াজ চাষ করেছি ইনশাআল্লাহ ভালো ফলন হবে। তিনি আরও জানান, ‘সবগুলো পেঁয়াজ উঠিয়ে বিক্রি করার মতো হয়নি। তবে কিছু পেঁয়াজ উঠিয়েছি। পেঁয়াজের আকারও হয়েছে বেশ বড়। একেকটির ওজন ২০০-৩০০ গ্রাম। ১ বিঘায় ফলন ১১০ থেকে ১২০ মণ হবে বলে আশা করছি।

পেঁয়াজ চাষিরা মনে করেন— জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপ-পরিচালক পলাশ সরকার বলেন, জেলায় ৩ দফায় সাড়ে ৪ হাজার কৃষককে প্রণোদনা দিয়ে সাড়ে ৪ হাজার বিঘা জমিতে ভারতীয় এন-৫৩ জাতের গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের চাষ করানো হয়। এবার পেঁয়াজের ফলন খুবই ভালো। এতে পেঁয়াজ চাষিদের মুখে হাসি ফুটছে। এ জাতের পেঁয়াজ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করলে ভারতীয় পেয়াজের আমদানি বন্ধ করা সম্ভব হবে। এই জাতের পেঁয়াজ চাষ করে কৃষকরা লাভবান।