সি-উইড হতে পারে সুনীল অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি: সিভাসু উপাচার্য

40

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ^বিদ্যালয়ে (সিভাসু) ‘Seaweed-based value added food product development from coastal zone of Bangladesh: A holistic approach from production to product development for sustainable value chain management’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিভাসু’র ফিশিং ও পোস্ট-হার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।

শনিবার সকাল ৯টায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান।

ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল আবছার খান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভাসু’র কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: কামাল, মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের পরিচালক মো: জিয়া হায়দার চৌধুরী, ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: আশরাফ আলি বিশ^াস, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান এবং পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. এস. কে. এম. আজিজুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো: মুহিবুল্লাহ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিভাসু’র ফিশিং ও পোস্ট-হার্ভেস্ট টেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: ফয়সাল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান বলেন, সি-উইড বা সামুদ্রিক শৈবাল একটি মূল্যবান সামুদ্রিক সম্পদ। এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক বেশী। এই সমুদ্রসম্পদকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো গেলে-এটি হতে পারে সুনীল অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। সি-উইড চাষাবাদ এবং এর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে বেশি বেশি গবেষণা করার আহ্বান জানিয়ে সিভাসু’র উপাচার্য আরও বলেন, এই ধরনের গবেষণায় সিভাসু কর্তৃপক্ষ সবসময় সহযোগিতা করবে।

উল্লেখ্য, ‘Seaweed-based value added food product development from coastal zone of Bangladesh: A holistic approach from production to product development for sustainable value chain management’ শীর্ষক এই প্রকল্পের অধীনে সিভাসু’র একদল গবেষক কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় সি-উইড নিয়ে কাজ করেছেন। তারা- সালসা বিচ এবং মনখালি, ছেপটখালি-নামক স্থানে দুই জাতের সামুদ্রিক শৈবাল (গ্রাসিলারিয়া ও উলবা ইন্টেস্টাইনালিস) চাষ করেন এবং এগুলো থেকে তিন ধরনের খাদ্যসামগ্রী-শুকনো সি উইড, সামুদ্রিক শৈবালের গুঁড়ো ও নোরি সীট বা লেভার শিট-তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করেছে-মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প।