চুয়েটে জমকালো আয়োজনে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪ সম্পন্ন

46

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযু্িক্ত বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর ‘বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪’ জমকালো আয়োজনে সম্পন্ন হয়েছে। আজ ৮ই ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ২০২৪ খ্রি. বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে সকাল ১১.১০ ঘটিকায় উক্ত প্রতিযোগিতার সমাপনী দিবসের ক্রীড়া অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বের উদ্বোধন করেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন লন সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, মেকানিক্যাল অ্যান্ড ম্যানুফেকচারিং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এ.এইচ. রাশেদুল হোসেন, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ইইই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মেহেদী হাসান চৌধুরী, এমআইই বিভাগের প্রভাষক জনাব তাসমিয়া বিনতে হাই এবং উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) জনাব মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। এবারের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফিল্ড মার্শালের দায়িত্ব পালন করেন গবেষণা ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. সজল চন্দ্র বনিক। এছাড়া মশাল হাতে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন গতবারের চ্যাম্পিয়ন পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে ছেলেদের ৫টি ও মেয়েদের ৩টি মোট ৮টি আবাসিক হলের ছাত্র-ছাত্রীরা আনন্দ র‌্যালির মাধ্যমে মাঠে প্রবেশ করে। এরপর জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা ও কবুতর উড়িয়ে খেলার উদ্বোধন ঘোষণা করেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। পরে প্রতিটি হলের সুসজ্জিত কুচকাওয়াজের মাধ্যমে প্রধান অতিথি ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয়কে সালাম জানিয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করে শিক্ষার্থীরা। এতে সেরা র‌্যালি নির্বাচিত হয়েছে যথাক্রমে শহীদ তারেক হুদা হল, শামসেন নাহার খান হল ও শহীদ মোহাম্মদ শাহ হল।

এবারের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ৪২টি ইভেন্টে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী মিলে প্রায় ১,২০০ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করছেন। এতে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্টে দ্রুততম মানব নির্বাচিত হয়েছেন ওয়ালিউল্লাহ রাকিব ও দ্রুততম মানবী নির্বাচিত হয়েছেন জারীন তাসনিম সাবা। এছাড়া ছাত্রদের মধ্যে ব্যক্তিগত চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন শেখ ওয়ালি উল্লাহ রাকীব ও রানার-আপ হয়েছেন ইসমাইল কবির হিমু এবং হল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শহীদ তারেক হুদা হল ও রানার-আপ হয়েছে বঙ্গবন্ধু হল। আর ছাত্রীদের মধ্যে ব্যক্তিগত চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন তাহাসিন আফিয়া মারওয়া ও রানার-আপ হয়েছেন তাহরিমা আকতার এবং হল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শামসেন নাহার খান হল ও হল রানার-আপ হয়েছে সুফিয়া কামাল হল। অন্যদিকে শিক্ষকদের মধ্যে দ্রুততম মানব হয়েছেন যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সানাউল রাব্বী, কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্রুততম মানব হয়েছেন কম্পট্রোলার অফিসের সহকারী কম্পট্রোলার জনাব এ.কে.এম. কামরুল হাসান, ৩য় শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে দ্রুততম মানব হয়েছেন ভিসি অফিসের অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক এবং ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মধ্যে দ্রুততম মানব হয়েছেন ভিসি অফিসের অফিস সহায়ক মো. শামীম উদ্দিন রাজু। দিনব্যাপী প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় পর্বে বিকাল ৪:৩০ ঘটিকায় সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।