বাণিজ্যিকভাবে শামুক চাষ করবেন যেভাবে

2580

01-2-388x220
বাণিজ্যিকভাবে শামুক চাষ করার কিছু সহজ পদ্ধতি রয়েছে। সেগুলো সম্পর্কে জানলে আপনিও বাণিজ্যিকভাবে শামুক চাষ করতে পারবেন।

আপনার যদি পরিতক্ত্য পুকুর বা ডোবা থাকে, তবে আর দেরি না করে ঐ জলাশয়ে শামুক চাষে নেমে পড়ুন। যে জলাশয়েকে বাদের খাতায় ফেলে দিয়েছিলেন সেই জলাশয়ে থেকে আসতে পারে বড় অঙ্কের টাকা। কিন্তু কিভাবে ? শামুক চাষ অত্যন্ত সহজ পদ্ধতি। শামুকের প্রজনন ক্ষমতা বেশি হওয়ায় তা বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করা যায়।

প্রতি ডেসিম্যাল পুকুরে এক কেজি গোবর, এক কেজি খোল (সরষে) ও ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া জলে ভালোভাবে মেশাতে হবে। এ মিশ্রণ সমান চার ভাগে ভাগ করে তিন দিন অন্তর জলে ছিটিয়ে দিতে হবে। পুকুরের জলের রং যখন গাঢ় সবুজ হবে, তখন বুঝতে হবে পুকুরটি শামুক চাষের উপযোগী হয়েছে। এরপর খালবিল বা পুকুর থেকে শামুক সংগ্রহ করে প্রতি ডেসিম্যাল হিসেবে ২৫০ গ্রাম শামুক পুকুরের চারদিকে ছিটিয়ে দিতে হবে।

পরবর্তী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে শামুক ব্যাপকভাবে বংশবিস্তার করবে। এরপর ৩৫ থেকে ৪০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ শামুক পাওয়া যাবে। চাষ পদ্ধতি শুরুর ৪০-৪৫ দিন পর শামুক সংগ্ৰহ করতে হবে। এজন্য বাঁশ বা কাঠের বড় লাঠি পুকুরে দিয়ে রাখতে হবে শামুক গুলো ঐ বাশের সাথে আটকে থাকবে । এবার বাঁশ গুলোকে তুলে এনে শামুক গুলো ছাড়াতে হবে।

এই শামুককে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহারের জন্য শামুক গুলো ভেঙ্গে রোদে শুকিয়ে পরবর্তীতে মেশিনের সাহায্যে গুঁড়ো করতে হবে। এবার অন্যান্য খাবারের উপাদানের সঙ্গে মেশানোর পর পিলেট মেশিন দিয়ে মাছের খাবার তৈরি করতে হবে। আগেই আলোচিত হয়েছে যে, এই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে একদিকে যেমন মাছের উৎপাদন খরচ কমবে, তেমনি মাছের প্রাকৃতিক স্বাদ অক্ষুন্ন থাকবে ও স্বাস্থ্যকর মাছ পাওয়া যাবে।

বাজার সৃষ্টি করতে পারলে বাণিজ্যিকভাবে শামুক চাষ করে প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব। শামুক চাষে কম পুঁজি লাগে বলে সহজেই করা সম্ভব। পুকুর থেকে হেক্টরপ্রতি বছরে চারটি ধাপে চার থেকে ছয় মেট্রিক টন শামুক উৎপাদন করা সম্ভব।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৫জানু২০২০