যশোরের অভয়নগরে শসার বাম্পার ফলন

98

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ঘেরের আইলে পানির ওপর মাচায় সবুজের সমারোহ, মাঝে উঁকি দিচ্ছে হলুদ সাদা ফুল কিংবা থরে থরে ঝুলছে শসা। শসা চাষে জনপ্রিয়তা পেয়েছে যশোরের অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম। চাষে কম খরচ ও বাজারমূল্য ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন চাষিরা। চলতি মৌসুমে শসার বাম্পার ফলন হয়েছে যশোরের অভয়নগরে। বাজারে ব্যাপক চাহিদার ফলে অনেক চাষি আগ্রহী হচ্ছে শসা চাষে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৯৮ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৪ গুণ শসা আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৩৬০ মেট্রিক টন।

শুভরাড়া ইউনিয়নের রানাগাতী গ্রামের শসাচাষি ইকরাম শেখ বলেন, ১৩ বিঘা ঘেরের পাড়ে শসা চাষ করেছি, ফলন ভালো হয়েছে। চাষে আমার খরচ হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আশা করছি প্রায় ৩ লাখ টাকার শসা বিক্রয় করতে পারব।

সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের শসাচাষি আলামিন গাজী বলেন, শসা আবাদ করে বাড়ন্ত গাছ মাচার ওপর ছড়িয়ে দেয়া হয়। এতে জায়গা কম লাগে ও অল্প পরিচর্যায় ভালো ফসল পাওয়া যায়। বীজ রোপণের ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে গাছের ফল ধরা শুরু হয়। শসাচাষি রবিউল গাজী বলেন, শসা চাষে খরচ কম এবং উৎপাদন বেশি পাই এই জন্য আমরা বেশি বেশি শসা চাষ করি।

অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এ শসা চাষ সম্প্রসারণে প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে টেকনিক্যাল বিষয় যে পরামর্শগুলো আমাদের মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে দিয়ে আসছি। এখানে শসা সম্প্রসারণে ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ঘেরের আইলে, রাস্তার দুপাশে যে জমিগুলো আছে সেখানে আমরা শসা চাষ করতে পারি। পুষ্টি মানের দিক থেকে শসা দারুণ একটি পুষ্টিকর খাবার। বাজার মূল্যের কথা বলতে গেলে শসা একটি উচ্চমূল্যের ফসল। সব মিলিয়ে বলা যায় আমাদের উপজেলায় শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা এতে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে।