‘শিক্ষাক্ষেত্রে বিনিয়োগের প্রতিদান জাতি শিক্ষার্থীদের কাছে প্রত্যাশা করে’

সিভাসু’র শিক্ষাবর্ষ সমারম্ভ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি

123

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, এমপি বলেছেন, শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকার অনেক বিনিয়োগ করছে। মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার মানোন্নয়নে নতুন নতুন অবকাঠামো হচ্ছে। শিক্ষিত ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ করে বিশেষায়িত উচ্চশিক্ষায় সরকার গবেষণার জন্য, দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য যে বিনিয়োগ করছে সেই বিনিয়োগের একটা প্রতিদান জাতি শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে প্রত্যাশা করে।

শনিবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ^বিদ্যালয়ের (সিভাসু) নবীন শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবর্ষ সমারম্ভ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সমারম্ভ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ), ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক সচিব মুহম্মদ মউদুদউর রশীদ সফদার। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: কামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সহযোগী অধ্যাপক তাসনিম ইমাম। সভাপতিত্ব করেন পরিচালক (ছাত্রকল্যাণ) প্রফেসর ড. ওমর ফারুক মিয়াজী।

শিক্ষা উপমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বর্তমানে সিভাসু’তে যেভাবে গবেষণা করার সুযোগ হচ্ছে, পাঠদান করার সুযোগ হচ্ছে-তা সরকারের উন্নয়নেরই ফল। কোভিডের সময় আমরা দেখেিেছ এ বিশ^বিদ্যালয়ের আরটি-পিসিআর মেশিন দিয়ে তিনটা জেলায় করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়। এটি বিশ^বিদ্যালয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদাহরণ।

তিনি আরো বলেন, আজকে যারা নতুন করে শিক্ষাবর্ষ শুরু করতে যাচ্ছ তোমরা সবসময় প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা বজায় রাখবে। তোমরাই জাতির ভবিষ্যৎ। পড়াশোনা করে নিজেদের জীবনকে গড়ে তুলবে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানের প্রতি তোমাদের একটা দায়বদ্ধতা অবশ্যই থাকতে হবে। বিশ^বিদ্যালয়ের প্রতি তোমাদের একটা ওনারশিপ থাকতে হবে। জীবনে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার পর অ্যালামনাই হিসেবে বিশ^বিদ্যালয়ের গবেষণা ফান্ডে তোমরা অনুদান দিবে। বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

সমারম্ভ বক্তা মুহম্মদ মউদুদউর রশীদ সফদার নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা নবীন শিক্ষার্থীরা আগামীর নির্মাতা। ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে তোমাদের ভূমিকা রাখতে হবে। সমাজকে ঢেলে সাজাতে হবে। বিশ^বিদ্যালয় থেকে আহরিত জ্ঞানকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে হবে। সেবাই যেন হয় তোমাদের ব্রত।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল আবছার খান, ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, ফুড সায়েন্স ও টেকনোলজি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো: আশরাফ আলি বিশ^াস, বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. আশুতোষ দাশ, রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারুক ইমাম ও বিশ^বিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, পরিচালক, হল প্রভোস্ট, দপ্তর প্রধানসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।