সিভাসু’তে পাঠ্যসূচি প্রণয়নবিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

83

বুধবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ^বিদ্যালয়ে (সিভাসু) ‘বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ অনুষদের পাঠ্যসূচি প্রণয়নের ওপর দ্বিতীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিকেলে কর্মশালার সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. হাসিনা খান। সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান-এর সভাপতিত্বে বিকাল ৪টায় সিভাসু অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত উক্ত অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসু’র সাবেক তিন উপাচার্য প্রফেসর ড. নীতীশ চন্দ্র দেবনাথ, প্রফেসর ড. এ. এস. মাহফুজুল বারি এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. হাসিনা খান বলেন, সবার থেকে ফিডব্যাক নিয়ে, ব্রেইনস্টোর্মিং করে পাঠ্যসূচি প্রণয়নের এই উদ্যোগ দেখে আমি অভিভূত। তিনি বলেন, ‘পাঠ্যসূচি প্রণয়ন একটি ডায়ানামিক প্রক্রিয়া। গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত জ্ঞান পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রাখা উচিত। ড. হাসিনা খান আরও বলেন, ‘আমরা যেন উদ্যোক্তা তৈরি করতে পারি, কারিকুলাম ডিজাইন করার সময় সেই বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।’

এর আগে সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) একুশে পদকপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: আনোয়ার হোসেন। চিফ পেট্রোন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসু’র উপাচার্য প্রফেসর ড. এএসএম লুৎফুল আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিভাসু’র কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো: কামাল। সভাপতিত্ব করেন ‘বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ অনুষদের সিলেবাস প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এএমএএম জুনায়েদ ছিদ্দিকী।

উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাকৃবি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. এমদাদুল হক চৌধুরী সিভাসু’র ‘বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ অনুষদের পাঠ্যসূচি প্রণয়নের ক্ষেত্রে সকলকে যতœবান হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, পাঠ্যসূচি প্রণয়নের সময় বেসিক কোর্সগুলোর প্রতি জোর দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের সফ্ট স্কিল যাতে বাড়ে, ফাউন্ডেশন যাতে শক্ত হয়-সেই বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখতে হবে।

যবিপ্রবি’র উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: আনোয়ার হোসেন বলেন, এই ধরনের অনুষদ চালু সময়ের দাবি। কারণ এই পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে বায়োটেকনোলজিস্টরাই হবেন মূল চালিকাশক্তি। তিনি কোভিড-১৯ এর মতো যেকোন দুর্যোগ মোকাবিলায় বায়োটেকনোলজিস্টদের প্রস্তুত থাকার এবং ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।

দিনব্যাপী কর্মশালায় বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ উপস্থিত ছিলেন।