হাঁস পালন মুরগির চেয়ে লাভজনক ও সহজ

515

হাঁস পালন মুরগির চেয়ে বেশি লাভজনক ও সহজ। এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

★হাসের ডিম মুরগির চেয়ে বেশি দামি!
★হাসের ডিমে মুরগির চেয়ে বেশি প্রটিন
★ হাসের ডিম লো- প্রেশার রুগীর ১ নম্বর অসুধ!
★ হাসের খামারে এন্টিবায়টিক প্রয়োগ হয় না!
★ হাসের বাচ্চার দাম মুরগির চেয়ে কম!
★ হাসের ডিমের চাহিদা দেশে সবচেয়ে বেশী!
★ হাসের প্রাকৃতিক খাদ্য মুরগির তুলনায় বেশি!

★ হাসের মাংসের মুল্য মুরগির তুলনায় বেশি
★ হাসের ডিম মুরগির ডিমের চেয়ে বেশি স্বাদ!
★হাস ও মাছ চাষ এক সাথেই করা যায়
★ খাকি কেম্বেল হাস বছরে ২৯০ টি পযর্ন্ত ডিম দেয়
★ ডিম পাড়া শেষে হাসের ভাল দাম পাওয়া যায়
★হাঁস পালন মুরগির চেয়ে সহজ!

★হাঁসের দলকে এক স্থানে স্বচ্ছন্দে আটকিয়ে বা আবদ্ধ করে পালন করা যায়।
★ মুরগির তুলনায় হাঁসের রোগ- বালাই কম!
★যে কোনো জলাশয়ের পাড়ে টিনের চালা দিয়ে হাঁসের ঘর তৈরী করা যায়।
★ হাঁস সাধারন সকালের দিকেই ডিম পেড়ে থাকে। ফলে কিছুটা নিরাপদ জায়গা হলে হাঁসের ডিম হারানোর কোন ভয় থাকে না।
★ জলজ শেওলাজাতীয় উদ্ভিদ এবং শামুক ঝিনুক ইত্যাদি হাঁসের খুব প্রিয় খাদ্য। এসব খাদ্য হাঁস নিজের প্রচেষ্টায় গ্রহন করে বলে খাদ্য সংগ্রহে কিছুটা সাশ্রয় হয়।

★ হাঁসের ঘর মুরগির চেয়ে কম খরচে করা যায়।
★হাঁস, মাছ ও ধান চাষ একত্রে করা লাভ জনক। হাঁস ধানের জমিতে জন্মানো শেওলা, আগাছা, ধান গাছের পোকা ইত্যাদি খায় এবং জমিতে পায়খানা করার ফলে ধানের ফলন ভাল হয়। কীটনাশক ঔষধ ব্যবহার করা হয় না বলে ধানের জমিতে মাছের চাষ করা যায়।
★ হাঁসের পায়খানা মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়।
★হাঁস পানিতে চরে তার খাদ্যের অর্ধেক সংগ্রহ করে বাকি অর্ধেক খাবার ঘরে দিতে হয়।
★ মুরগির তুলনায় হাঁস অনেক বেশি কষ্টসহিষ্ণু।
★ হাঁসের পায়খানা কৃষিজমির জন্য উৎকৃষ্ট সার।
★হাঁসের ডিমের খোসা ও খোসার নিচের আবরন অপেক্ষাকৃত মোটা বলে হাঁসের ডিম আমাদের দেশে উষ্ণ আর্দ্র আবহাওয়ায় সহজে নষ্ট হয় না।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৩জানুয়ারি২০২১