স্পোরাডিক কেসঃ
এসব কেসে মুরগির খাবার,ডিম,পানি,পায়খানা ঠিক থাকে।১হাজারে মাসে ১টা বা ১৫দিনে ১টা বা ৭দিনে ১টা মারা যেতে পারে যা জীবাণুর লোড,টক্সিসিটি,মিনারেলস/ইমোনিটি,ব্যবস্থাপনা সহ বিভিন্ন কারণে কম বেশি হতে পারে।নেক সময় এই সব ছোট খাট বিষয়কে বড় করে দেখে না জানার আরণে।এসব ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করা যায়।কিছু কিছু ক্ষেত্রে খামারীদের চিকিৎসা দিতে হয়।মুরগির না।
১।ক্যালসিয়াম টিটানিঃ
হঠাত মারা যায় ওভারীতে বিভিন্ন সাইজের ৬-৯টি বড় ওভা থাকে,ওভিডাক্টে ডিম পাওয়া যায়।মুরগি সুস্থ থাকে।
২।কলিব্যাসিলোসিস/সাল্মোনেলোসিস
হ্যাচারী থেকে কিছু কিছু বাচ্চা নাভিকাচা/সাল্মোনেলোসিস নিয়ে আসতে পারে যা মারা যেতে পারে।অল্প কিছু বাচ্চা মারা যেতে পারে কিন্তু বেশি মারা গেলে স্পোরাডিক হবে না তখন ৫০-১০০% মর্টালিটি হতে পারে যদি সাল্মোনেলোসিস হয়।
৩।এগ পেরিটোনাইটিসঃ
ডিম যদি এবডোমিনাল ক্যাবিটিতে চলে আসে তাহলে মুরগি মারা যায়।
৪।এগ বাউন্ডঃ
ডিম্বানলীতে ডিম আটকে মারা যায় মাখে মাঝে.
৫।কৃমিঃ
কৃমির কারণে শুকিয়ে মুরগি মারা যায় তবে গ্রোয়িং পিরিয়ডেই নরমালী মারা যায়।
৬।ফ্যাটি লিভার/ফ্যাটি লিভার হেমোরেজিক সিনড্রমঃ
ফ্যাটি লিভার/ফ্যাটি লিভার হেমোরেজিক সিনড্রম এর কারণে মুরগি মারা যায় তবে গরমের সিজনে বেশি যায়।
৭।হিট স্টোকঃ
তাপমাত্রা যদি ৩৫ডিগ্রির বেশি হয় তাহলেই কেবল মারা যায়।
৮।সাডেন ডেথ সিনড্রমঃ
মেইনলি ব্রয়লারে মারা যায় তবে লেয়ারে ও হতে পারে।.
৮।ভয়ঃ
পশুপাখি।বন্য প্রানীর আক্রমণে মুরগি মারা যেতে পারে।বিভিন্ন শব্দের কারণ ও মারা যেতে পারে।
৯।খাচায় ফাস লেগেঃ
এটা একটা কমন সমস্যা যা ফার্মে হয়ে থাকে,অনেক সময় খাচার সূতা গলায় প্যাচ লেগে মারা যায়
১০।মাইকোটক্সিনঃ
মাইকোটক্সিনের কারণে লিভার ও কিডনি নস্ট হয়ে মুরগি মারা যায়।ভুট্রা ও গরমের সিজনে বেশি মারা যায়.
১১।ভ্যাক্সিন ফেইলারঃ
ভুল ভাবে বিশেষ করে ঘাড়ের উপরের দিকে বা ঘাড়ের নার্ভে ভ্যাক্সিন বা পায়ের নার্ভে লেগে মুরগি মারা যায় বা প্যারালাইসিস হয়।
১২।নরমাল মর্টালিটিঃ
অনেক সময় কোন কারণ খুজে পাওয়া যায় না মানে হল নরমাল মৃত্য.১হাজার লেয়ারে ৫% মর্টালিটি স্বাভাবিক ৯০-১০০ সপ্তাহ পর্যন্ত।
তাছাড়া ব্রয়লারে ও ১ম সপ্তাহে ১%,২য় সপ্তাহে দেড় পারসেন্ট স্বাভাবিক।তাছাড়া ৩৫-৪০দিন পর্যন্ত ৫% মর্টালিটি স্বাভাবিক
অনেক সময় হার্টে হেমোরেজ পাওয়া যায় অথচ কোন সমস্যা ফার্মে দেখা যায় না তখন এটাকে স্বাভাবিকভাবেই নিতে হবে।
মাঝে মাঝে দেখা যায় এবডোমিনাল ফ্যাটে হেমোরেজ,আসলে কোন জটিল সমস্যা না ।এক টা মুরগি এভাবে মারা যেতেই পারে যা নিয়ে বেশি ভাবার দরকার নাই।
১৩।ডিহাইড্রেশনঃ
বাচ্চা অনেক সময় ডিহাইড্রেটেট হয়ে মারা যেতে পারে এমন কি শীতেও মাচ্চা মারা যায়।এসব আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
১৪।পাইলিং/জমা হয়েঃ
অনেক সময় পাইলিং মানে এক সাথে জমা হয়ে মুরগি মারা যেতে পারে।
১৫।শিকারীর আক্রমণ
বড় ইদুর,বিড়াল,বেজি মুরগি বা বাচ্চা খেয়ে ফেলতে পারে।
##কোন রোগের কারণে মুরগি তেমন মারা যায় না।গেলেও অল্প মারা যায়।
১।মাইকোপ্লাজমোসিসঃ
ব্রয়লারের ক্ষেত্রে মারা যেতে পারে সি সি আর ডি বা আর ডি সি হয়ে কিন্তু লেয়ারে মারা যায় না ।
২।আমাশয়ঃ
৯৫% কেসের ক্ষেত্রে মারা যায় না ।আইমেরিয়া টেনেলা বা ব্রুনেট্রি দিয়ে হলে মারা যেতে পারে ১-১০%।তবে
৩।পক্সঃ
ড্রাই পক্সে মারা যায় না কিন্তু ওয়েট পক্সে মারা যেতে পারে.
৪।রিওঃ
ব্রয়লারে হয় কিন্তু মারা যায় না
৫।ই ডি এসঃ
ডিম পাড়া মুরগিতে হবে কিন্তু মারা যাবেনা শুধু ডিম কমে যাবে
৬।আই বিঃ
আই বি যদি প্রডাকশনের মুরগিতে হয় তাহলে মারা যায় না তবে গ্রোয়িং পিরিয়ডে হলে বিশেষ করে ব্রয়লারে মিক্স ইনফেকশনে মারা যেতে পারে।
আই বি নরমালী কলেরা বা এ আই এর সাথে মিক্স ইনফেকশন আকারে আসে।
৭।এইচ ৯ এন ২ঃ
এতে নরমালী মুরগি মারা যায় না তবে যদি মি্ক্স ইনফেকশন হয় বা অন্যান্য স্টেস কন্ডিশনে থাকে তাহলে মারা যেতে পারে।
৮।ই-কলাইঃ
প্রডাকশনের মুরগিতে ই-কলাই এ অল্প যা স্পোরাডিকেলি বলা যায়.কিন্তু গ্রোয়িং পিরিয়ডে বিশেষ করে ব্রয়লারে.৫-১০% মর্টালিটি হতে পারে।
৯।লেন্টোজেনিক রানিক্ষেতঃ
এতে গড় গড় শব্দ হয় কিন্তু মারা যায় না,ভ্যাক্সিন দিলে ঠিক হয়ে যায়
১০।পুলোরামঃ
ডিম পাড়া মুরগিতে কম মারা যায়
১১।করাইজা.
প্রায় মুরগি আক্রান্ত হয় কিন্তু মারা তেমন যায় না,যদি মিক্স ইনফেকশন হয় তাহলে কিছু যেতে পারে।
১২।কৃমি
যেসব মুরগিতে কৃমির লোড বেশি হয় সেগুলো মারা যেতে পারে তবে তা বিরল।
১৩।মাইকোটক্সিন
এতে মুরগি বেশি মারা যায় না তবে যদি একিউট কেস হয় বা হাসের হয় তাহলে বেশি মারা যেতে পারে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১১নভেম্বর২০২০