তীব্র শীতে গাদাগাদি হয়ে বাচ্চা মারা যাওয়া রোধে করণীয়

65

 

পোল্ট্রি তথা হাঁস-মুরগি পালন একটি লাভজনক পেশা। পোল্ট্রি খামার করার মাধ্যমে অনেকেই তাদের বেকারত্ব দূর করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।পোল্ট্রি খামারিরা অনেক সময় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। এসব সমস্যার মধ্যে অন্যতম হল শীতে গাদাগাদি হয়ে বাচ্চা মারা যাওয়া। আসুন জেনে নেই শীতে গাদাগাদি হয়ে বাচ্চা মারা যাওয়া রোধে করণীয় সম্পর্কে-

শীতে গাদাগাদি হয়ে বাচ্চা মারা যাওয়া রোধে করণীয়:
শীতকালে ব্রুডিংয়ে বাচ্চা মারা যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো বাচ্চা গাদাগাদি করা। এক্ষেত্রে দেখা যায় ব্রুডারে তাপমাত্রা কম হলে অনেক বাচ্চা একত্রে গাদাগাদি করে অবস্থান করে এবং একটি বাচ্চার উপর অন্য বাচ্চা উঠে পরে। ফলে নীচে চাপা পড়ে সাফোকেশনের (অক্সিজেনের অভাব) জন্য বাচ্চাগুলো মারা যায়।

অনেক বাচ্চা একসাথে ব্রুডিং করলে এবং ব্রুডারে যথেষ্ঠ ফ্লোরস্পেস না দিলে বাচ্চা হাডলিং বা গাদাগাদি করে বাচ্চা অন্য বাচ্চার নীচে চাপা পড়ে মারা যেতে পারে।
ব্রুডিং চলাকালে যথেষ্ঠ তাপমাত্রার অভাব হলে বাচ্চা একত্রে গাদাগাদি করে কৃত্রিমভাবে শরীর গরম করার চেষ্টা করে।

এতে করে কিছু বাচ্চা নীচে চাপা পড়ে অক্সিজেনের অভাবে দম বন্ধ হয়ে মারা যায়। অনেকে ৩ থেকে ৪ হাজার বাচ্চা বড় করে একটি ব্রুডার করে, শীতকালে এভাবে ব্রুডিং করলে গাদাগাদি করে বাচ্চা বেশী মারা যেতে পারে।

শীতকালে বাচ্চা গাদাগাদি করে মারা যাওয়া ঠেকাতে প্রতি বাচ্চার জন্য ০.১৬ থেকে ০.১৭ বর্গফুট হিসেব করে ব্রুডার বানাতে হবে। শীতকালে প্রতি ৫০০ বাচ্চার জন্য আলাদা আলাদা ৯ থেকে ১০ ফুট ব্যাস দিয়ে গোলাকার করে ব্রুডার বানালে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়।

সঠিক ব্রুডিং এর জন্য সঠিক তাপমাত্রা নিশ্চিত করা ছাড়া অন্য কোন বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে ব্রুডিংয়ের প্রথম সপ্তাহে ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ সরবরাহ করতে হবে।

তারপরেও যদি ব্রুডারের ভিতর তাপমাত্রা কম থাকায় গাদাগাদি করে বাচ্চা মারা যায় তাহলে, ব্রুডার উপরের দিকে ফাকা রেখে পাটের তৈরি চট দিয়ে ঢেকে দিতে পারেন।
তাহলে তাপমাত্রা কন্ট্রোল থাকবে।

যারা ইলেকট্রনিক বাল্ব দিয়ে ব্রুডিং করেন তারা বাল্বের পাশাপাশি টিনের কানচের ভিতর কয়লা বা শুকনা কাঠের গুড়ি দিয়ে এক্সটা তাপের ব্যবস্থা রাখতে পারেন, তাহলে প্রচন্ড শীতের মধ্যেও বাচ্চা ভালো থাকবে।