সুনামগঞ্জে হাওরে ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ

90

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার ছোট-বড় প্রায় সব হাওরে ব্লাস্ট রোগের সংক্রমণ দেখা দিয়েছ। এমন অবস্থায় বোরো ধানের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কায় হতাশা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।

ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলায় ৩১ হাজার ৮৫০ সেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে। এই এলাকার সকল কৃষক, বছরে এই ফসলের আশায় থাকে তাই এই মহামারি রোগে ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকেরা দিশেহারা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা জানায়, প্রথমে ধানের পাতায় ছোট ছোট ডিম্বাকৃতির সাদা ও বাদামি বর্ণের দাগ দেখা দেয় এবং পরে পুরো গায়ে ছড়িয়ে পড়ে। সংক্রমণ বেশি হলে ধানগাছে রোগ হয়ে আগুনের মতো পুড়ে যাচ্ছে। ধানের ভেতরে কোনো চাল নেই।

এ বিষয়ে পাইকুরাটি ইউনিয়নের বৌলাম গ্রামের কৃষক ইছব আলী বলেন, গোয়াগাছিয়া ও শইলচাপড়া হাওরে বেশ কিছু জমিতে এ রোগ দেখা দিয়েছে। কৃষকরা কিছু বোঝার আগেই এই রোগ দেখা দেয়। তিনি আরও বলেন, সরকার এই মহামারি রোগের প্রতিকার ব্যবস্থা না নিলে কৃষক ধান চাষের উৎসাহ হারাবে।

এ বিষয়ে ধর্মপাশা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আলী বলেন, বোরো ধানের জমিতে এ রোগ দেখা দেয়ার খবর জানার পরেই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করি এবং কার্যকরী পরামর্শ দেই। মূলত জমিতে ইউরিয়া প্রয়োগ, দিনে গরম ও রাতে ঠাণ্ডা আবহাওয়া এবং অসময়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়া এ রোগ হয়ার মূল কারণ। তিনি আরও বলেন, ২৮ জাতের ধানে (ব্লাস্ট) এই রোগের সংক্রমণ বেশি। প্রাথমিক পর্যায়ে এ রোগ শনাক্ত করা গেলে তবে ব্লাস্ট দমন করা সম্ভব। তিনি আরও বলেন, বোরো ধানের এ রোগ নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সমস্ত উপজেলায় কৃষকদের নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জনসচেতনতামূলক সভা ও লিফলেট বিতরণ করেছি। এ বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ এবং যেকোনো সেবা দেয়ার জন্য আমরা মাঠে কাজ করছি।