বান্দরবানে বৈশাখী কৃষি মেলা (১৪২৪ বঙ্গাব্দ) অনুষ্ঠিত

297

[su_slider source=”media: 4113,4116,4115,4114″ title=”no” pages=”no”] [/su_slider]

কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী: গত ১৪ এপ্রিল বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে স্থানীয় রাজার মাঠে তিন দিনব্যাপি ‘বৈশাখী কৃষি মেলা (১৪২৪ বঙ্গাব্দ)’র শুভ উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উসেশিং। এ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক অতিক্রম করার পর অতিথিবৃন্দ মেলার স্টল পরিদর্শন করেন। মেলায় পার্বত্য এলাকার উপযোগি লাগসই ও লাভজনক বিভিন্ন কৃষি প্রযুক্তি, কৃষকদের উৎপাদিত বিভিন্ন কৃষি পণ্য, পার্বত্য এলাকায় উৎপন্ন বিভিন্ন ফল ও শাকসব্জি আকর্ষণীয়রূপে উপস্থাপন করা হয়। এছাড়া বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মেলায় কৃষি তথ্য সার্ভিস, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের পক্ষ থেকে কৃষি প্রযুক্তি ও সচেতনতামূলক ফ্লিম শো প্রদর্শন করা হয়। আজ (১৭ এপ্রিল) কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজধানীস্থ ডিএই ক্রপস উইং’র অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক কৃষিবিদ এম এ কুদ্দুস, ডিএই জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষিবিদ ড. আক্কাস মাহামুদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হারুন আর রশিদ।

সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে উন্নত কৃষি প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। আর উন্নত কৃষি প্রযুক্তি কৃষকের কাছে কার্যকরভাবে পৌঁছে দেয়ার লক্ষে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ কর্তৃক এ বৈশাখী কৃষি মেলার আয়োজন। নতুন বাংলা বছরের শুরুতে নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হয়ে এবং তা সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থার কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন ঘটবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভাপতি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, মেলায় বেশ কিছু নতুন কৃষি প্রযুক্তি স্থান পেয়েছে। বিশেষকরে বস্তায় সবজি চাষ, ছাদ বাগান, কেঁচো কম্পোস্ট, মৌ চাষ, কৃষি মোবাইল অ্যাপস এসব প্রযুক্তি সাধারণ কৃষকদের পাশাপাশি শহর অঞ্চলের কৃষকদেরও তাদের ক্ষুদ্র পরিসরে কৃষি কাজকে উৎসাহিত করবে। এতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ হবে। অনুষ্ঠানের শেষে মেলায় অংশগ্রহণকারী কৃষক এবং স্টলের প্রতিনিধিদের মাঝে বিভিন্ন পুরস্কার বিতরণ করা হয়। মেলায় সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট ২২ টি বিষয়ভিত্তিক স্টল স্থান পায়।